স্পিচ এ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি
যে সকল ব্যক্তি (শিশু/বয়স্ক) তাদের গঠনগত অথবা উচ্চারণগত সমস্যার কারণে অন্যের সাথে কথা বলা/ভাব বিনিময়ে বাঁধার সম্মুখীন হয়ে থাকে তাদের জন্য স্পিচ এ্যান্ড লাংগুয়েজ থেরাপি একটি বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
রোগীর সমস্যার ধরণ, কারণ ও রোগীর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একজন স্পিচ এ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট নির্ধারণ করেন তাকে কিভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। একজন থেরাপিস্ট শুধুমাত্র রোগীর শারীরিক, মানসিক অবস্থাই নয় বরং তার সামাজিক অবস্থা পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। রোগীকে তার পরিবার এবং সমাজের অন্য সবার সাথে যোগাযোগে সক্ষম করার জন্য সহায়ক সামগ্রীর ব্যবহার/বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার ও পরিবেশষগত পরিবতনের কথাও বিবেচনা করেন স্পিচ এ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট।
শিশুদের ক্ষেত্রেঃ
সেরিব্রাল পলসি
অটিজম
ডাউন সিনড্রোম
শ্রবণ প্রতিবন্ধী
এডিএইডি
ঠোট ও তালু কাটা
লিখন প্রতিবন্ধিতা
তোতলামী
খাবার চিবানো ও গিলতে সমস্যা
আর্টিকুলেশন এ্যান্ড ফোনোলোজিক্যাল ডিজঅর্ডার
স্নায়ুরোগ সম্বন্ধীয়ঃ
স্ট্রোক
ট্রমাটিক ব্রেইন ইনজুরি(মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রোগী)
আলজাইমার
ডিমেনসিয়া
গুলেনবারী সিনড্রোম
মোটর নিউরণ ডিজিজ
স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির ভূমিকা
কথা ও ভাষা বিষয়ক বৈকল্যের সমস্যার ক্ষেত্রে স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির ভূমিকা
অটিজম ও এডিএইচডি’র ক্ষেত্রে :-
মনোযোগ বৃদ্ধিকরণ ও আত্ববিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করন
মনস্তাত্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে
আচরনগত পরিবরতন আনয়নে সাহায্য করা
রাগ নিয়ন্ত্রন ও নির্দেশনা মেনে চলার ক্ষেত্রে সাহায্য করা
সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করা
কথা বলা ও প্রাক নির্বাচন ভাষার বিকাশে কাজ করা
বাচ্চার অনুভূতির মান উন্নয়ন ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করা
কথা ও ভাষার বিলম্বতার ক্ষেত্রে :-
বয়স অনুযায়ী বাচ্চার কথা ও ভাষার বিকাশ কোন পর্যাইয়ে আছে তা সনাক্ত করা
বাচ্চার লেভেল কোন পর্যাইয়ে আছে তা অভিবাবকদের অবহিত করন
বাচ্চার ভাষার বিকাশ ও বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন এবং সমস্যার ধরন অনুযায়ী চিকিতসার পরিকল্পনা প্রনয়ন
কথা ও ভাষার উন্নয়নের জন্য যথাযথ পরামর্শ প্রনয়ন
ঠোঁট ও তালুকাটার ক্ষেত্রে ভূমিকা :-
উচ্চারন
খাদ্য ও গলাধকরনের মান উন্নয়ন
ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধিকরন
খেলার দক্ষতার মান উন্নয়ন
নাকা নাকা স্বরে কথা কমানোর ক্ষেত্রে
ঠোঁট ও তালুকাটার ক্ষেত্রে ভূমিকা :-
উচ্চারন
খাদ্য ও গলাধকরনের মান উন্নয়ন
ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধিকরন
খেলার দক্ষতার মান উন্নয়ন
নাকা নাকা স্বরে কথা কমানোর ক্ষেত্রে
সেরেব্রাল পালসি’র ক্ষেত্রে :-
মুখের বল বৃদ্ধি করন
খাদ্য গলধ করন
সামাজিক যোগাযোগ উন্নয়ন করন
খেলার দক্ষতার মান উন্নয়ন
কথা ওঁ ভাষার মান উন্নয়ন
খাদ্য ও গলাধকরনের সমস্যার ক্ষেত্রে
মুখের ব্যায়াম
খাদ্য ও গলাধকরনের মান উন্নয়ন
খাওয়ার সময় সঠিক অবস্থান নির্ধারন
খাবার চিবানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করন
খাবারের ঘনত্ত্ব নির্ধারন করা
কণ্ঠস্বরের সমস্যার ক্ষেত্রে :-
কন্ঠস্বরের গুঙ্গত মান উন্নয়ন
কন্ঠস্বরের সমস্যা সনাক্ত করন এবং পরিকল্পনা প্রনয়ন
কন্ঠস্বর ব্যাভারের নিয়মাবিলি প্রনয়ন
কঠস্বর থেরাপি প্রদান
তোতলামি’র ক্ষেত্রে ভূমিকা:-
কথার’র গতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সাহায্যকরণ
ধীরে ধীরে কথা বলার মাধ্যমে স্বাভাবিক কথার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা
তোতলামির ধরণ ও মাত্রা হ্রাস করণে সাহায্যকরণ
কথা বলার জন্য অতিরিক্ত মানসিক চাপ হ্রাসে সাহায্যকরণ