Occupational Therapy
Helping People to Communicate

অকুপেশনাল থেরাপি হচ্ছে এমন একটি স্বাস্থ্যসেবামূলক পেশা যা একজন ব্যক্তিকে তার শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে তার সীমাবদ্ধতাকে গুরুত্ব দিয়ে দৈনন্দিন কাজে স্বনির্ভর জীবনযাপনে সক্ষম হতে সাহায্য করে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো_ শারীরিক, মানসিক বা সামাজিকভাবে অক্ষম একজন ব্যক্তিকে দৈনন্দিন কাজে তার সার্মথ্য অনুযায়ী স্বনির্ভর করা। অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা সেবা সেই সকল রোগীদের জন্য প্রয়োজন যাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্ম কোন না কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার কারণে যেমন শারীরিক অক্ষমতা বা বুদ্ধি বৃত্তির বিকাশজনিত নসমস্যার কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

অকুপেশনাল থেরাপি সেবা দেয়া হয় বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ।যেমনঃ

  • উদ্দেশ্যমূলখ কাজ (পারপাসফুল এ্যাকটিভিটিস)
  • থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ
  • বিশেষ সহায়ক উপকরণ
  • দক্ষতার উন্নয়ন
  • প্রবেশ গম্যতা নিশ্চিতকরণ

প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবেশের পরিবতন করার মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজকর্মে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির স্বর্নিভরতা অজন করার জন্য অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।

 

যে সকল রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়

  • স্নায়ুরোগ(মেরুরজ্জুতে আঘাত, প্যারালাইসিস)
  • অটিজম
  • সেরিব্রাল পালসি
  • মানসিক রোগ
  • বিষন্নতা
  • সিজোফ্রেনিয়া
  • বান
  • হাড়ভাঙ্গা
  • আর্থ্রাইসিস
  • নার্ভ্ ইনজুরি
  • ডাউন সিনড্রেমা
  • বুদ্ধি প্রতিবন্ধী

 

অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসার সুফলঃ

  • দৈনন্দিন জীবনের কাজকম যেমন-জনজ হাতে ভাত খাওয়া,তজামা-কাপড় পরিধান করা, গোসল করা, চুল আচড়ানো ইত্যাদি করতে পারা।
  • হাতের দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন-হাতের লেখা, হাত দিয়ে কোন জিনিষ ধরতে পারা।
  • গ্রসমোটর যেমন-হাঁটা চালা, দৌড়ানো ইত্যাদি।
  • ভারসাম্যতা রক্ষা
  • বুদ্ধি বৃত্তির বিকাশ
  • অনুভূতির সমন্বয় সাধন করা
  • সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি
  • খেলা-ধূলায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি। 

 

অকুপেশনাল থেরাপির যাত্রা

১৯০০ সালে প্রথম মানসিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য অকুপেশনাল থেরাপি পেশার যাত্রা শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী সময় অকুপেশনাল থেরাপি শুধু মানসিক রোগের নয়, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও কাজ করা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এ পেশার প্রসার ঘটে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে অকুপেশনাল থেরাপির যাত্রা শুরু হয় ।

 

একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট যেসব চিকিৎসা দিয়ে থাকেন:


গ্রুপ থেরাপি, ইন্ডিভিজুয়াল থেরাপি,
কাউন্সিলিং, রিলাক্জেশন থেরাপি,
সোস্যাল স্কিল ট্রেনিং, অ্যাসারটিভনেস
ট্রেনিং, রিয়েলিটি থেরাপি,
ফ্যামিলি থেরাপি, লাইফ স্কিল
ট্রেনিং, পাই অব লাইফ মডিফিকেশন।